৬৫ দিনের খড়গ থেকে মুক্তি চেয়ে জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

বঙ্গোপসাগরে ইলিশ শিকার বন্ধের জন্য নির্ধারিত ৬৫ দিন অবরোধের সময়সীমা পুনঃনির্ধারনের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে হাজারো জেলে, মৎস্যব্যবসায়ী ও মাছধরা ট্রলার মালিকরা। শনিবার সকাল ১০টায় পটুয়াখালী-কুয়াকাটা সড়কের শেখ রাসেল সেতুর উপর আলীপুর,মহিপুর, কুয়াকাটা মস্যব্যবসায়ি সমিতি এবং ফিশিং বোট মালিক সমিতিসহ জেলে পেশার সঙ্গে জড়িত অন্যান সংগঠনের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

প্রায় ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মহিপুর মৎস্য আড়ৎদার সমবায় সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম বেপারী, লতাচাপলী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও কুয়াকাটা ও আলীপুর মৎস্য ব্যবসায়ীর সমিতির সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা, মহিপুর ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার গাজী, মহিপুর মৎস্য ব্যবসায়ী ফজলু গাজী, ট্রলার মালিক আসাদুজ্জামান দিদার ও জলিল হাওলাদার প্রমুখ।

বক্তারা মেরিন ফিশারিজ অর্ডিনেন্স ১৯৮৩ এর ধারা ১৮ সংশোধন করে ধারা ১৯ এর পূণঃসংশোধন পূর্বক ফিশিং ট্রলারসহ সকল ইঞ্জিন চালিত নৌকায় মাছ ধরার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানায়। তারা ৬৫ দিনের মাছ ধরা বন্ধের খড়গ থেকে মুক্তির আবেদন করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রনালয় ২০১৫ সালে ২০ মে মৎস্য-২ (আইন) অধিশাখা একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে সামুদ্রিক সমৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও সংরক্ষনের লক্ষ্যে প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রজ্ঞাপনটি এত বছর বাস্তবায়ন না হলেও চলতি মৌসুমে বাস্তবায়ন করার প্রক্রিয়া রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment